যুদ্ধ হয় সমানে সমানে' এ তো প্রবাদ বাক্য মাত্র। কিন্তু বাস্তবে প্রতিপক্ষ যখন অসম, অনিশ্চিত আর শক্তিশালী হয়, তখন লড়াইয়ের আগেই কাপুরুষের মতো হার স্বীকার না করে, প্রয়োজনীয় অস্ত্রে ধার দিয়ে মুখোমুখি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াই বীরের লক্ষণ। আমরা ব্লাডমেটস সেরকম যুদ্ধেরই শরিক। কঠিন কঠিন সব রোগের মতো অসম প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রোগীর এবং তার পরিবারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রক্তের জোগাড় করে তাদের পাশে থাকাই আমাদের কাজ। এক্ষেত্রে আমাদের অস্ত্র একটাই, 'সমন্বয়' গড়ে তোলা। ব্লাডমেটসের ট্যাগলাইন 'আসল অস্ত্র সমন্বয়' তাই সেই কথাই বলে। এটি আসলে শিল্পী রূপম ইসলামের 'উগ্রবাদের গুপ্তবই' গানের একটি লাইন। রূপম ইসলাম এমন একজন শিল্পী, ব্লাডমেটসের শৈশব থেকে বেড়ে ওঠার প্রতিটি পদক্ষেপে ব্লাডমেটসের পাশে থেকেছেন অভিভাবকের মতো।
ব্লাডমেটসের অন্যতম কাজ রক্তদাতার সাথে গ্রহীতা আর তার পরিবারের সমন্বয় স্থাপন। রক্তের প্রয়োজনে রোগীর পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তৎক্ষণাৎ শুরু হয় রক্তদাতার খোঁজ। কখনও মধ্যরাতেও বিরল রক্তের গ্রুপের খোঁজ চলে। মাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া। ব্লাডমেটসের বর্তমান কোর কমিটির ১৫৫ জন সদস্য ছাড়াও ব্লাডমেটসের শুভাকাঙ্ক্ষী, ডোনার এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন বহু মানুষ, যারা হয়তো সরাসরি ব্লাডমেটসের সঙ্গে যুক্ত নন তবুও তাদের আমরা ব্লাডমেটস পরিবারের অংশ বলেই মনে করি, এদের সকলের শেয়ারের ফলে রক্তের প্রয়োজনে পোস্ট মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল থেকে ওয়ালে, স্টৈটাসে, স্টোরিতে এবং ঠিক সময়ে রক্তদাতা জোগাড়ও করা যায়। তাই সমন্বয় যে শুধুমাত্র রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যেই ঘটে, তার নয়। রক্তদাতা অবধি পৌঁছানোর জন্য রাজ্যের নানা প্রান্তের মানুষের সমন্বয়ের সেতুই হল ব্লাডমেটস। একক নয়, সকলের মিলিত প্রয়াসেই গড়ে ওঠে এই সমন্বয়।
ছোটবেলায় পড়া চাষীর তিন ছেলের কঞ্চি ভাঙার গল্পটা মনে আছে? যারা এক একজন এক একটি কঞ্চি ভেঙে দু'টুকরো করে ফেললেও একসাথে বাঁধা অনেকগুলো কঞ্চি কেউ একা ভাঙতে পারল না অথচ তিনজনে মিলে চেষ্টা করতেই খুব সহজেই সফল হল। রোগের বিরুদ্ধে লড়াইটাও খানিক সেরকম। রোগী আর মানসিকভাবে দুর্বল তার পরিবার এককভাবে না লড়ে যদি সমন্বয় গড়ে তুলে রোগের বিরুদ্ধে একযোগে রুখে দাঁড়ানো যায়, এই লড়াইটা রোগীর জন্য অনেক সহজ হয়ে যায়। কারণ 'একতাই বল'। আর এই লড়াইয়ে অনেক ক্ষেত্রেই অপরিহার্য হয়ে পড়ে রক্ত, যা মানবদেহ ছাড়া কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করার পদ্ধতি এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। ঠিক এখান থেকেই ব্লাডমেটসের রক্ত জোগাড়ের লক্ষ্যে রক্তদাতা এবং গ্রহীতার সমন্বয় সাধনের কাজ শুরু। উদ্দেশ্য একটাই 'সমন্বয়' অস্ত্রে রোগকে ঘায়েল করা।
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Ducimus itaque, autem necessitatibus voluptate quod mollitia delectus aut, sunt placeat nam vero culpa sapiente consectetur similique, inventore eos fugit cupiditate numquam!
Leave a comment